অনলাইন ডেস্ক: ডাকসুর শামসুনাহার হলের ভিপি কানিজ কুররাতুল আইন–এর বক্তব্য চলাকালীন মাইকের বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি তিনি নিজেই ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বোটানিক্যাল গার্ডেনে ভোলাহাট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে। কানিজ কুররাতুল আইন অভিযোগ করেন, বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ করে মাইকের সংযোগ অফ করে দেওয়া হয় এবং তাকে বিভিন্নভাবে হ্যারাস করার চেষ্টা করা হয়।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ছাপড়িদের কারণে ছাত্রদল খুব দ্রুতই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। পদ পদবী না থাকলেও, সরকার পতনের পরে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে, নিজেদেরকে ছাত্রদলের বিশাল বড় মনে করে শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ শুরু করেছে।
গতকাল রাজশাহী বোটানিক্যাল গার্ডেনে ভোলাহাট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রোগ্রামে আমার বক্তব্য চলাকালীন সময়ে তারা মাইকে বৈদ্যুতিক সংযোগ অফ করে দেয়। এর পাশাপাশি বিভিন্নভাবে হ্যারাসমেন্টের চেষ্টা করে। তাদের কথা মতে, আমি বক্তব্য দিলে বিএনপির এমপি ক্যান্ডিডেটকেও ডেকে এনে বক্তব্য দেওয়াতে হবে।
প্রথমত আমি ভোলাহাট উপজেলার সন্তান এবং রানিং স্টুডেন্ট। দ্বিতীয়ত, স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, উপদেষ্টা থেকে শুরু করে আ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বারংবার আমাকে অনুরোধ করেছেন প্রোগ্রামে আসার জন্য।
ছাত্রদলের এরকম আচরণে স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিব্রত হয়েছেন, তারা ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আমার ফ্রেন্ডলিস্টে ছাত্রদলের এবং বিএনপি’র অনেক কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ আছেন, আপনাদের প্রতি অনুরোধ নিজেদের দলকে এভাবে ছাপড়িদের দ্বারা কুলুষিত হতে দেবেন না এবং গতকালের ঘটনায় আপনারা কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন সেটিও দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ভোলাহাট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো.শুভ জানান, কানিজ আপু বক্তব্য দিয়েছে। কিন্তু মাইকের বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করার বিষয়ে আমি বলতে পাচ্ছি না। পরে শুনলাম একটু ঝামেলা হয়েছে। আমাদের উপদেষ্টারা আপুর সাথে কথা বলেছে। আপুর সাথে আমি কথা বলেছি।
