স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) সদ্য ভর্তি হওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী রাফিয়া সুলতানা কুইনের জীবন থেমে গেছে। অ্যাজমাজনিত জটিলতায় বুধবার (৬ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
রাফিয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার মেয়ে। তার বাবা আব্দুল খালেক আহমেদ ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। রাফিয়া ভোলাহাট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন এবং তার অসাধারণ ফলাফলের মাধ্যমে দেশের ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯টি ইউনিটে ভর্তির সুযোগ লাভ করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটে ৪৫২তম, ‘বি’ ইউনিটে ৪৭তম এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪৩তম স্থান অর্জন করে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন মেধাবীদের কাতারে। এছাড়া তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৬তম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮৩৯তম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ইউনিটে যথাক্রমে ২২০তম ও ২৫৬তম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬২৯তম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০তম এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৮তম স্থান অর্জন করেন।
গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তিনি ১৫৮তম অবস্থানে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের পছন্দের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-তে ভর্তি হন রাফিয়া।
কিন্তু ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই জীবনযুদ্ধে হার মানলেন এই মেধাবী শিক্ষার্থী। পরিবারের সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে তিনি হঠাৎ শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে আক্রান্ত হন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরবর্তীতে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
তার বাবা আব্দুল খালেক আহমেদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছোট মেয়ে রাফিয়া ছিল আমার আশা-ভরসা। সে শুধু আমার না, পুরো ভোলাহাটবাসীর গর্ব ছিল। তাঁর খালু মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, অত্যন্ত মেধাবী ও ধার্মিক ছিলেন।
ভোলাহাটের প্রবীণ সাংবাদিক গোলাম কবির বলেন, “রাফিয়া সুলতানার অকাল মৃত্যুতে এলাকা শোকে স্তব্ধ। তার শিক্ষা অর্জন ছিল এলাকার অহংকার। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।”
