গোমস্তাপুরে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ

গোমস্তাপুর উপজেলা

 ব্যুরো প্রধান,গোমস্তাপুর: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। সেই সাথে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ। শিশুসহ বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আক্রান্ত হয়ে শিশু বৃদ্ধরা ভর্তি হচ্ছেন বেশি। অনেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে জরুরি ও বহির্বিভাগে লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক রোগীকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডায়রিয়া,জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া,অ্যাজমা, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহের রোগীর সংখ্যা বেশি।

এদিকে ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের নানা পরামর্শ দিতে দেখা গেছে চিকিৎসকদের। গতকাল মঙ্গলবার ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত ৩৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ আব্দুল হামিদ জানিয়েছেন। এছাড়া চৌডালা এলাকার ভর্তিকৃত এক শিশুর মা ইসমতারা বলেন, দুইদিন থেকে হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে আছি। তার মেয়ে ঠান্ডা লেগে ডায়েরিয়া হয়েছিল। তার শরীরের অবস্থা ভাল ছিল না। ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে মোটামুটি এখন ভাল আছে। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধ মোঃ আনসারুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন থেকে শীত বৃদ্ধি পাওয়ায় তার ঠান্ডা লেগেছে। হঠাৎ তার পেটের সমস্যা দেখা দেয়। সকাল থেকে তার পাঁচ ছয়বার পায়খানা হয়েছে। সাথে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এখন সুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।

গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মোঃ ইসমাইল হোসেন লিংকন বলেন, ঠান্ডাতে ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বৃদ্ধরা। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে আক্রান্ত রোগীরা। তবে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। ভর্তিকৃত রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার মাসুদ বলেন ঠান্ডা সহ বিভিন্ন রোগ জরুরি বিভাগে অনেক চিকিৎসা নিতে আসছেন।

গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বা: মোঃ আব্দুল হামিদ বলেন, শীতকালীন সময়ে ভাইরাসজনিত রোগ ,ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগে গোমস্তাপুর উপজেলায় সোমবার ৩৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ১৪ জন ডায়রিয়া, পেটের পীড়া ১ জন, ৯ জন শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা ৫ জন, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ ৪ জন রয়েছে। এছাড়া জরুরি ও বহির্বিভাগে শীতকালীন সময়ে প্রতিদিন বিভিন্ন রোগের ৪’শজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীদের স্বাস্থ্য শিক্ষার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *