স্টাফ রিপোর্টার: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী ড. মু. মিজানুর রহমান বলেছেন, দুর্নীতিই দেশের প্রধান শত্রু। তিনি এমপি নির্বাচিত হলে উন্নয়নের বরাদ্দের এক টাকা নিজের বা দলের কারও পকেটে যাবে না বলে অঙ্গীকার করেন। যুবকদের কর্মসংস্থান, কৃষি ইপিজেড স্থাপন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং ভোলাহাট-রহনপুর সড়ক সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দেন।
রবিবার ভোলাহাট উপজেলায় ইউসুফ আলী স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে দলদলী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নির্বাচনী সমাবেশ এসব কথা বলেন এমপি প্রার্থী ড. মু. মিজানুর রহমান।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের এক নম্বর দুশমন হলো দুর্নীতি। দুর্নীতির কারণে দেশকে বিশ্ববাসীর সামনে অপমানজনকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা এই পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে চাই। আগের অনেক এমপি জনগণের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন, কিন্তু আল্লাহর চোখকে ফাঁকি দেওয়া কখনোই সম্ভব নয়। আমি জনগণের ভয় নয়, মহান আল্লাহ তায়ালার ভয়েই সব ধরনের দুর্নীতি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাই।

তিনি অঙ্গীকার করে বলেন, আমি যদি এমপি নির্বাচিত হই, এলাকার উন্নয়নের জন্য যে বরাদ্দ আসবে তার একটি পয়সাও আমার পকেটে যাবে না। আমার দলের কোনো নেতা বা কর্মীকেও এমন সুযোগ দেওয়া হবে না। আমি যদি নিজে দুর্নীতিমুক্ত থাকতে পারি এবং আমার দলের নেতাকর্মীদের দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে পারি, তাহলে কেউ দুর্নীতি করার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ পান, তাহলে আমার দলের নেতৃবৃন্দের কাছে তা জানাবেন, তারা আমার যথাযথ শান্তির ব্যবস্থা করবে।
তিনি যুবদের উদ্যোশে বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় শক্তি যুবসমাজ। আমার স্বপ্ন এ এলাকার প্রতিটি যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলে ‘কৃষি ইপিজেড’ গড়ে তোলা গেলে হাজার হাজার যুবকের কর্মসংস্থান হবে।
তিনি আরও বলেন, আগের রাজনৈতিক দলগুলো যুবকদের শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু আমরা যুবকদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চাই। দেশের সংস্কার করতে হলে যুবকরা-ই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, এই আসনে বহু প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও অবকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল। এমপি নির্বাচিত হলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেঙে পড়া অবকাঠামোর আমূল পরিবর্তন করা হবে।
এছাড়া তিনি ভোলাহাট-রহননপুর সড়ক প্রশস্তকরণ, ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা, চিকিৎসক ও আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ, এবং ভোলাহাটে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন।
বক্তব্য শেষে তিনি বলেন, আপনারা এসব উন্নয়ন চান, তাহলে আমাকেও আপনাদের এমপি হিসেবে চাইতে হবে। সামনের নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিন। আমি একটি শান্তির এলাকা, একটি উন্নয়নের এলাকা এবং একটি দুর্নীতিমুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে চাই। এজন্য আমি আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
ভোলাহাট উপজেলা আমীর মাওলানা মো. শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরার সদস্য ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক লতিফুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াহিয়া খালেদ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য তারিকুল ইসলাম বকুল, ভোলাহাট উপজেলার নায়েবে আমীর লোকমান আলী, উপজেলা সাবেক আমীর ক্বারী আলাউদ্দিন।
