ভোলাহাটে জামায়াত বিএনপি’র ৫জনকে গোপনে নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা অধ্যক্ষ সভাপতি

ভোলাহাট উপজেলা শিক্ষা সারা দেশ

স্টাফ রিপোর্টার: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার পোল্লাডাঙ্গা ইসলামপুর আলিম মাদ্রাসায় জামায়াত ও বিএনপি’র বিভিন্ন পদে ৫জনকে গোপনে নিয়োগ দিয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে অধ্যক্ষ ও সভাপতি। গোপন নিয়োগ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাদ্রাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ মাদ্রাসা উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর(শূন্য ও সৃষ্ট), অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, ও আয়া পদে ৫জনকে নিয়োগ দেয়ার জন্য জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ৩ বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।

এ সময় এলাকার প্রায় ৩০জন বেকার যুবকেরা আবেদন করেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল হান্নান ও সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম যোগসাযোস করে নিয়োগ দেয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্ত নিয়োগ না দিয়ে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ ও সভাপতি গোপনে আবারও ২বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। গোপন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রক্সি আবেদন করিয়ে গত ২২ ডিসেম্বর ৫ পদে ৫জনকে নিয়োগ প্রদান করেন। বিষয়টি ধামাচাপা থাকলেও গোপন নিয়োগে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিয়োগের বিষয়টি জানা জানি হলে অধ্যক্ষ ও সভাপতি আত্মগোপন করেছেন। তাঁরা বই উৎসবেও ছিলেন না। সরকার দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয় অধ্যক্ষ জামায়াত পন্থি ও সভাপতি বিএনপির হওয়ায় ৫টি পদে জামায়াত ও বিএনপির ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করেছেন।

এদিকে আবেদকারী প্রার্থী মোসাঃ সোনীয়া খাতুন, মোসাঃ তানিয়া খাতুন, মোঃ শামশুল হোদা, মোঃ জহরুল হক, মিজানুর রহমান, মোঃ নাজমুল ইসলাম, মোঃ হারুন অর রশিদসহ অন্যরা জানান, আমরা চাকুরির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু গোপনে নিয়োগ দিয়ে দিয়েছে। পরীক্ষার জন্য আমাদের চিঠিপত্র দেয়নি। নিয়োগের ব্যাপারে মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মোঃ এমরান আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এব্যাপারে কিছুই জানিনা। মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ মুসফিকুর রহমান চান জানান, নিয়োগের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

এদিকে মাদ্রাসার দাতা সদস্য মোঃ সাজেদ আলী বিষয়টি অবগত নন। অভিভাবক সদস্য মোঃ মোরশালিন জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গোপন নিয়োগের ব্যাপারে অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল হান্নানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাজশাহীতে চিকিৎসার জন্য আছেন। গোপন নিয়োগের ব্যাপারে স্পস্ট করেননি। সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বরিশালে আছেন। নিয়োগ প্রদানের প্রশ্নে তিনি বলেন আমরা কোন নিয়োগ প্রদান করিনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তৌফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গোপন নিয়োগের ব্যাপারটি শুনেছি। মাদ্রাসা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই তাই আমার করার কিছু নেই। তাছাড়া আমি অবসরে আজ(১ জানুয়ারী) শেষ কর্মদিবস আমার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *