ভোলাহাটে জলমহাল ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রচারণায় ইউএনও’র লুকোচুরি

ভোলাহাট উপজেলা

স্টাফ রিপোর্টার: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার জলমহাল তিন বছর মেয়াদি ১৪৩২-১৪৩৪ বঙ্গাব্দ নিবন্ধধীত ও প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির কাছে লীজ প্রদানের ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রচারণা নিয়ে ইউএনও’র লুকোচুরির অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, উপজেলায় ২০ একর আয়তনের মোট ১৮ টি জলমহাল ইজারা প্রদান করা হবে। গত ২ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তারের স্বাক্ষরিত ইজারা বিজ্ঞপ্তি দিলেও তা প্রকাশ্যে আসেনি। খোদ জলমহাল ইজারা উপজেলা কমিটির সদস্যদের হাতে পৌঁছেনি জলমহাল ইজারা বিজ্ঞপ্তিটি। ২ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি স্বাক্ষরিত হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওয়েব পোর্টালেও প্রকাশিত হয় ৯ জানুয়ারি। সাংবাদিকের তথ্য অনুসন্ধানের খবর টের পেয়ে ১৯ জানুয়ারি ঝুলিয়েছেন নোটিশ বোর্ডে। তবে কিছু কিছু মৎস্যজীবী সমিতির হাতে নোটিশটি পৌঁচেছে বলে জানা যায়।

এদিকে নিবন্ধিত প্রকৃত মৎসজীবি সমিতির নিকট জলমহাল লীজ দেয়ার লক্ষ্যে আবেদন আহ্বান করার জন্য দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশের কথা থাকলেও স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানেন না কোন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ হয়েছে। ইজারা বিজ্ঞপ্তি ব্যাপক প্রচারণায় ইউএনও’র গোপনীয়তা নিয়ে আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। লুকোচুরি করে তাঁর পছন্দের লোককে জলমহাল ইজারা প্রদান করতে না পারে এব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান সচেতন মহলের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউএনও অফিসের এক কর্মচারী বলেন, ‘জলমহাল ইজার বিজ্ঞপ্তি প্রচারের দায়িত্ব ভূমি অফিসে সার্ভেয়ার লেমন কাউসারকে দিয়েছে ইউএনও।’ খোঁজ নিতে উপজেলা ভূমি অফিসে সার্ভেয়ার লেমন কাউসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নোটিশ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান।

জলমহাল ইজারার উপজেলা কমিটির সদস্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছে যায়নি বিজ্ঞপ্তিটি। দলদলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক চুটু বলেন, ‘জলমহল ইজারার বিষয়ে আমার কাছে কোনো বিজ্ঞপ্তি আসেনি। বিজ্ঞপ্তি হয়েছে কী না কিছু জানিনা।’ একই কথা বলেছেন, জামবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়যারম্যান মো. আফাজ উদ্দিন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুঃ ওয়ালিউল ইসলাম জানান, জলমহল ইজারার একটা বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি। সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী যে সকল উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেই সেকল উপজেলায় সমবায় কর্মকর্তা জলমহাল ইজারার সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এব্যাপারে উপজেলা সমবায় অফিসার (অঃদাঃ) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তার বলেন, ‘গত ৬ জানুযয়ারি স্থানীয় একটা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *