স্টাফ রির্পোটারঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় গত ৮ মে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ৪৪জনের বিরুদ্ধে (৯ জুন) চাঁপাইনবাবগঞ্জ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদাতলে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী। মামলা নাম্বার ১/২৪। অভিযোগকারী বাদী উপজেলার হাঁসপুকুর (চাকপাড়া) গ্রামের মোঃ আব্দুর নুর মন্ডলের ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোটে প্রতীদ্ব›িদ্ধতা করেন। বাদীর আদালতের অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, পরাজিত তিন জন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম, আব্দুল গাফ্ফার মুকুল ও মো. বাবর আলী বিশ^াস, জেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং অফিসার, ভোলাহাট নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রির্টানিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ৪৪ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ৮ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩৮টি ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টের দেয়া তথ্য মতে মোট ৩ হাজার ৫৯১টি ভোট বাতিল হয়েছে। কিন্তু মাত্র ১ হাজার ২১০টি ভোট বাতিল দেখিয়ে বাঁকী ২ হাজার ৩৮১ ভোট বে-আইনী ভাবে ১ নং বিবাদীর ভোটে যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বাদীর ১ হাজার ৭১০টি ভোট ১ নং বিবাদীর ভোটে যুক্ত করা হয়েছে। তিনি অভিযোগে আরো বলেন, বাদীর পোলিং এজেন্ট প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে দূর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে অভিযোগ করলে কোন আপত্তি গ্রহণ করেননি। তিনি আরো অভিযোগে উল্লেখ্য করেন ৩৮টি কেন্দ্রে ভোট গননা শেষে প্রাথমিক পর্যায়ে ১নং বিবাদীর চিংড়ি প্রতিকে ৮হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়েছেন বাদী পেয়েছেন ১২ হাজার ৪৭৬ ভোট বলে জানানো হলেও কিছুক্ষণ পর বিবাদীর ভোট ১৩ হাজার ৮৪ এবং বাদীর ভোট ১০ হাজার ৭৬৬ বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে। পরে চূড়ান্ত সিটে স্বাক্ষর করা হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগে উল্লেখ করেন, পোলিং এজেন্টদের ব্যস্ততার কথা বলে প্রিজাইডিং অফিসার তাদের কিছু বুঝতে না দিয়ে ভোট গ্রহণের পূর্বেই গননা ফরমে স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। এ ফরমে বে-আইনী ফলাফল লেখা হয় বলে দাবী করেন বাদী। বাদী ভোট পূনঃ গননার দাবী করেছেন। এ ব্যাপারে ৮ মে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রির্টানিং অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন। একই অভিযোগ জেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং অফিসার বরাবর করতে গেলে অভিযোগ গ্রহণ না করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগামী ১৮ জুলাই বিবাদীদের নোটিশ পাঠিয়ে আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত।