স্টাফ রিপোর্টার: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হক পাচ্ছেন একুশে পদক। ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা, ভাষা ও সাহিত্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ‘একুশে পদক—২০২৪’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সমাজসেবায় অবদান রাখায় একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে সাদা মনের মানুষ মো. জিয়াউল হককে।
১৯৩৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চামামুশরীভূজা গ্রামের এক অতি দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন জিয়াউল হক জিয়া। পঞ্চম শ্রেণির পর স্কুলে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি তাঁর। এক পর্যায়ে শুরু করেন দই বিক্রি।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হয়ে কোনো রকমে সংসার চালালেও প্রতিদিন দুই—একটি বই কিনতে কিনতে নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন এক পাঠাগার। তিনি ২০ বছর বয়স থেকে দই বিক্রি শুরু করে। সংসার চালানোর পর টাকা জমিয়ে বই কিনতেন।
এলাকার গরীব, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ কিনে দিয়ে সহযোগিতাও করেন তিনি। মাঝেমধ্যে আর্থিক সহযোগিতাও করেন। গ্রামের এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা ডাক্তার দেখাতে পারে না তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায়ও আর্থিক সাহায্য করে যাচ্ছেন এই সাদা মনের মানুষ।
সাদা মনের মানুষ মো. জিয়াউল হক বলেন, একুশে পদক পাওয়ার খবরে আমি খুব খুশি। জনকল্যাণে আমি মৃত্যুর আগ পযন্ত কাজ করে যাওয়ার মানসিকতা বৃদ্ধি পেলো। আমি আরো বেশি বেশি কাজ করার শক্তি পেলাম।