মোঃ মনিরুল ইসলাম, নাচোল:সরু ধান, শক্ত গাছ, আর লম্বা শীষে জানান দিচ্ছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান ব্রি ১০৩। নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের কেন্দুয়া গ্রামের শাহিন আলম চলতি রোপা আমন মৌসুমে ৯বিঘা জমিতে ব্রি ধান ১০৩ চাষাবাদ করেছেন। ব্রি ধান এই জাতটির গাছ অনেক উঁচু, ধানে সাইজ লম্বা, শীষগুলোও অনেক লম্বা। দেখে মন জুড়িয়ে যাচ্ছে। পরিচর্যার সবকিছুই খরচে অনেক কম। তবু বাম্পার ফলনের আশা রয়েছে। ধান চাষি আশা করছেন বিঘাপ্রতি ২২-২৫মণ ফলন হবে। তবে মাঠে যদি সবাই মিলে একসাথে চাষাবাদ করা হয় তাহলে অনেক বেশি লাভজনক হবে।
একই গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম জানান, এই ব্রি ধান ১০৩ জাতটি কৃষকদের জন্য সবচাইতে লাভবান হবে। যেমন অন্য জাতের চাইতে ১৫দিন আগে কাটা যায়। আবার ঐ জমিতে সরিষা করার পরেও সময় মতো আবার ইরি ধান চাষাবাদ করা যাবে। এতে করে কম খরচে লাভ বেশি পাবে কৃষকরা। আগামী বছর আমি নিজে এই জাতটি লিগাবো এবং অন্যদেরকেও লাগানোর জন্য উৎসাহিত করব।
চলতি বছরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৯৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে ব্রি ধান ১০৩। দেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত সর্বশেষ নতুন এই জাতটি বানিজ্যিক ভাবে লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে অনেক আগ্রহ বাড়ছে। ধানের শীষ দোল খেলানো বাতাস প্রানবন্ধন করছে কৃষকের নতুন স্বপ্নকে। প্রতিবছর কমছে ফসলী জমি। ভালো জাত হতে যতরকম বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার সব ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই ফ্রি ধান ১০৩ এর মধ্যে। তাই একই জমিতে ফসলের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে স্বল্পকালীন জাত সম্প্রসারণে জোড়ালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম। তিনি আরো বলেন, গুন মানে ঠিক থাকায় এবং শতভাগ উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় এধানের অপার সম্ভাবনা দেখছেন কৃষিবিদরাও। বলছেন প্রয়োজনে এখন চাহিদা মত কৃষককে বীজ দেওয়া এবং মনিটরিং নিশ্চিত করা।
হাইব্রিড জাতের ব্রি ধান আরো অনেক রয়েছে তার মধ্যে এই জাতটি কৃষকদের জন্য অনেক লাভজনক হবে। ২০২২সালে উদ্ভাবন করা হয় ব্রি ধান ১০৩ এর। গড়ে ১৩০দিনে কাটা যায় এই ধান। এর গড় ফলন বিঘাপ্রতি ২০থেকে ২২ মণ।
