গোমস্তাপুরে রাতের আঁধারে গাছ কেটে এ কেমন শত্রুতা!

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি

নুর মোহাম্মদ,গোমস্তাপুর:চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে জমি নিয়ে বিরোধ রাতের আধারে ২০ ফলজ গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গত সোমবার (২০মে) গভীর রাতে উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ব্রজনাথপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মনিরুল ইসলাম গোমস্তাপুর থানায় প্রতিপক্ষ ৭ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত মনিরুল ইসলামের বাড়ি সংলগ্ন ১.০১ একর তার জমি রয়েছে। ওই জমির সীমানা আইল পাশাপাশি হওয়ায় প্রতিপক্ষ লোকজন বিভিন্ন সময় জোর পূর্বক আইল (সীমানা) চেপে ভোগ দখল করে আসছে। বিষয়টি মনিরুল ও তার পরিবার প্রতিপক্ষকে বলতে গেলে কোন কর্ণপাত না করে হুমকি দেয় । পরবর্তী স্থানীয়ভাবে শালীসি বৈঠক হয়। শালীসি বৈঠকে প্রতিপক্ষদের সীমানের দিকে থাকা জমি ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে। জমি ছাড়বে না বলে হুমকি দেয়। গত সোমবার গভীর রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শরিফুল ইসলাম, বাবুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন, হ্নদয় আলী, আবুল কাশেম, আ: সামাদ ও মিনু বেগম ঐ জমিতে গিয়ে বেড়া ভেঙে ২০ টি মাল্টা,২০ কাটিমন গাছ কেটে ফেলে। সকালে ঐ জমিতে মনিরুল ও তার পরিবার এসে দেখতে পায় গাছগুলো কেটে ফেলে রেখেছে। পরে প্রতিপক্ষদের বলতে গেলে তারা মনিরুল ও তার স্ত্রী গোলচেহেরা উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে দেশি অস্ত্র লাঠিলাদনা নিয়ে তাদের মারধর করে । তার স্ত্রী গোলচেহারার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরিবারের লোকজনকে প্রতিপক্ষ প্রাণনাসের হুমকি দিয়ে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন থেকে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। একাধিক স্থানীয় সার্ভেয়ার(আমিন) ডেকে জমি মাপ করা হয়। শরিফুল বাড়ির দিকে মনিরুল জমি আছে। ওই জমি শালীসি বৈঠকে কিনে নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু শরিফুল মেনে নিচ্ছে না। তিনি সুষ্ঠু সমাধান চান।

এ বিষয় শরিফুল ইসলাম বলেন, গাছ তারা কাটেন নি। মনিরুল ও তার পরিবার নিজেরাই গাছ কেটে আমাদের ওপর চাপাচ্ছেন। জমির বিষয়ে বলেন,তার দাগের জমি তাদের জমির ভিতরে আছে। আমাদেরই মেরে জখম করেছে। কোর্টে এ মামলা প্রক্রিয়াধীন। বাংগাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বলেন শরিফুল ইসলাম বলেন আমার সভাপতিত্বে উভয়পক্ষের জমি মাপ যোগ করা হয়। সেখানে মজিবুরের ভিতরে মনিরুলের ৭ শতক জমি ঢুকে থাকে । সালিশ বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়ে সাত শতক জমি অন্য জমির সাথে বিনিময় করে সমন্বয় করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয় এবং দশ হাজার টাকা বায়না করে মজিবুর।পরবর্তীতে সালিশ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বায়নামা টাকা ফেরত নিয়ে নেয়। এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ওসি চৌধুরী জুবায়ের আহমেদ বলেন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি সরজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *