নুর মোহাম্মদ, ব্যুরো প্রধান, গোমস্তাপুর: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেল স্টেশন থেকে কম খরচে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষিপণ্য পৌঁছে দিতে বিশেষ ট্রেন কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন চালু করেছেে রেলওয়ে। শনিবার সকাল রহনপুর ষ্টেশন থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো কৃষিপণ্য স্পেশাল মালবাহী ট্রেনটি। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনা, বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় ও শনিবার রহনপুর থেকে ঢাকায় কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াত করবে ট্রেনটি। প্রতিদিন ১২০ টন পণ্য আনা-নেয়ার সুবিধা মিলবে। প্রতি কেজি সবজি ও কৃষিপণ্য বহনে খরচ পড়বে ১ টাকা ৮ পয়সা থেকে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। ট্রেনের অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যানে ফল ও সবজি পরিবহন করা যাবে। এছাড়া রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানে হিমায়িত পণ্য মাছ, মাংস ও দুধ পরিবহন করা হবে। ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রেনের মূল ভাড়া কম। তবে ফসলের মাঠ থেকে স্টেশন এবং স্টেশন থেকে মোকামে আলাদা যানবাহনে পণ্য পরিবহন করতে বাড়তি খরচ রয়েছে। এছাড়া ট্রেনে পণ্য ওঠানো ও নামানোয় কুলিদের টাকা দিতে হয়। কুলিরা যে যার ইচ্ছামতো টাকা নেয়। সড়কপথে রহনপুর থেকে ঢাকার বাজারে পণ্য পাঠাতে খরচ হয় প্রতি কেজিতে দুই থেকে আড়াই টাকা। আর ট্রেনে সব মিলিয়ে খরচ পড়ে যাচ্ছে ৩ টাকারও বেশি। এর সঙ্গে ভোগান্তি তো রয়েছে। এজন্য ট্রেনে পণ্য পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না কেউ। তবে আজ প্রথম মালবাহী ট্রেনটি এসেছে অনেকে জানেনা তাই প্রচার হলে এই মালবাহী ট্রেনে কৃষি পণ্য পাঠাতে অনেক আগ্রহী হবে। রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার জুনায়েদ আল মামুন জানান, আমরা কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। ট্রেনটি প্রতি সপ্তাহে একদিন শনিবার সকাল ৯ঃ১৫ মিনিটে রহনপুর ছেড়ে যাবে। শীতাতপ একটিসহ মোট পাঁচটি লাগেজ ভ্যান রয়েছে। প্রতি কেজি পণ্য ঢাকায় পরিবহন করতে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা। তবে আজ প্রথম দিন নির্ধারিত সময় ৯ঃ১৫ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা লেটে ৯ঃ৪৫ মিনিটে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনটি রহনপুর স্টেশন ত্যাগ করেন। ট্রেনটি যাত্রাপথে নাচোল, আমনূরা জং, কাকনহাট, রাজশাহী , সরদহরোড, আড়ানি, আব্দুলপুর, আজিমনগর, ঈশ্বরদী বাইপাস, চাটমোহর, বড়ালব্রীজ ও জয়দেপুর স্টেশন থামবে।