স্টাফ রিপোর্টার: ফ্যাসিবাদী সরকারের নৈরাজ্যসৃষ্টিকারী কর্তাব্যক্তিগণ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পৃথক পৃথক ভাবে বিড়্গােভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসুচি করেছে ভোলাহাট উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে ভোলাহাট মোহবুল্লাহ কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে কলেজ মোড়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ মোড় চত্বরে শেষ হয়ে অবস্থান করেন। বক্তব্য দেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাও. মো. শামসুজ্জামান আলকাশ, নায়েবে আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. লোকমান আলী, মো. তৌহিদুর রহমান, বাইতুলমাল সম্পাদক মোও. মো. ক্বারী আলাউদ্দিন, দলদলী ইউনিয়ন আমীর মো. আমিনুল ইসলাম, জামাবাড়িয়া আমীর আব্দুল বাসির, ছাত্রশিবিরের সাবেক উপজেলা সভাপতি মো. মাসুদ রানা সুমন ও মো. সোহেল রানাসহ অন্যরা।
উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কলেজ মোড়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ মোড় চত্বরে শেষ হয়ে অবস্থান করেন। এসময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মাহাতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো আনোয়ারম্নল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা মোঃ আলাউদ্দিন, নারী নেত্রী ও সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ রেশমাতুল আরশ রেখা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান মিজু, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মুনসুর আলী, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কায়সার আহমেদ, ছাত্রদল নেতা মোঃ মহসিন আলীসহসহ স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
অন্য দিকে উপজেলা আম চত্বরে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আম চত্বরে শেষ হয়ে অবস্থান করেন দলের নেতা কর্মীরা। এসময় বক্তব্য দেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ইয়াজদানি জর্জ, সদস্য সচিব আব্দুল কাদের, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. শাহানাজ খাতুন, জামবাড়িয়া ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক শাহাজালাল, সদস্য সচিব কামরম্নল জামান, যুবদল নেতা মো. বিএম রম্নবেল আহমেদ, মো. আজিম আলী, মো. মতিউর রহমান, জুবায়ের আলী, ছাত্রদল মো. মাসুদ রানাসহ অন্যরা।
সকাল ১০ টার দিকে বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিড়্গােভ মিছিল করেন। তাদের মিছিলটি ভোলাহাট মোহবুল্লাহ কলেজ মাঠ থেকে কলেজ মোড়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ মোড় চত্বরে শেষ হয়ে।
এসময় পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। এখন দেশকে গড়তে হবে। দেশকে অর্থবহ, স্থিতিশীল ও উন্নয়নের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে দল-মত-নির্বিশেষে কাজ করতে হবে। আওয়ামীলীগসহ সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রম্নত বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রম্নততম সময়ে অপসারণ করতে হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদেও শহীদ হিসেবে বকুল ও আহতদের সুস্থ্যতা কমনা করেন।