স্টাফ রিপোর্টার: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের ৬৩নং শুড়লা কেরামত আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংযোগ সড়কের অভাবে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয় করন হয়। শিক্ষার আলো ছড়ানো সরকারি প্রাথমিক এ বিদ্যালয়টির নেয় সংযোগ সড়ক। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় এতোদিনেও হয়নি সংযোগ সড়ক। এতে নিত্যদিনের ভোগান্তি রয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের। বসত বাড়ির পাশ দিয়ে সরু পথ দিয়েই স্কুলে যেতে হয় তাদের।
স্থানীয়রা জানান, মুনসুর আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ ও মুন্তাজ আলীর ছেলে লহির উদ্দিনের দুই শতক জমির উপর দিয়ে ছিলো স্কুলে যাওয়ায় সংযোগ সড়কটি। স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সেই সংযোগ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করত, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সবাই। প্রায় ৪মাস আগে সড়কটি পাকাকরনের কাজ শুরু হলে, জমি মালিক সড়কটি ঘিরে দেয়। সেই থেকেই বন্ধ স্কুলের সংযোগ সড়কটি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুফল চন্দ্র বর্মন জানান ৩৪ বছর থেকে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের লিখাপড়া করিয়ে আসছি। স্কুলে যাতায়াত করে যাচ্ছি। রাস্তাটি পাকাকরণ হতে গিয়ে দুই বাড়ি দ্বন্দের জেরে শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছি আমরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মৃনাল কান্তি সরকার জানান বিষয়টি জানিয়ে ইউএনও বরাবর আবেদন দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে ঘটনার সময় পূর্বের ইউএনও বদলি হয়ে গেলো। তারপর নির্বাচন শুরু হয়ে যাওয়ায় কোন সুরাহা হয়নি। এখন আবার নতুন করে ইউএনও এর সাথে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
নেজামপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা এস, মোহাম্মদ আলী বলেন খবর পেয়ে আমি এবং ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান গিয়ে মাপজোক করে দেখি যে, রাস্তাটি পুরটায় অন্যের জমার মাটির উপর। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও রাস্তায় বাধা দানকারীরা সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে দুই পক্ষ নিয়ে কথা হয়েছিলো যে, স্কুলের সার্থে আমরা যে কোন বিনিময়ে রাস্তা ছেড়ে দেব।
তবে এখন পর্যন্ত যে হয়নি, সেটি জানার বাইরে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা সরকার এবিষয়ে জানান আমি নতুন জয়েন্ট করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্তা নিব। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের জানান এবিষয়ে আমার জানা নেই ইউএনও’র সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।