ভোলাহাটে টমেটো গাছ কেটে সর্বশান্ত করলো ভাইকে

কৃষি ভোলাহাট উপজেলা

স্টাফ রিপোর্টার:  অভাবি সংসারে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার খেয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে ঋণের টাকায় টমেটো চাষ করেছিলেন দরিদ্র বিপ্লব। কিন্তু সে সুখ কেড়ে নিলেন নিজের মায়ের পেটের ভাই। পূর্ব শত্রুতার জেরে ফল ধরা ফসলের টমেটো গাছ মূর্হূতে কেটে ফেলে সর্বশান্ত করে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার বড়জামবাড়ীয়া গ্রামের মৃত: রসুন জামান ভাদুর ছেলে বিপ্লব অভিযোগ করে বলেন, বড়জামবাড়িয়া মৌজার ছোট ডহরের বিলে নিজস্ব ১৬ কাঠা জমিতে এনজিও সংস্থার কাছ থেকে ঋণের টাকা নিয়ে টমেটো চাষ করেছি। টমেটো গাছে ফল এসেছে। আমি ১১ ডিসেম্বর সকালে টমেটো তুলে বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৫০টি ক্যারেটে টমেটো ভর্তি করি। পরে বিকেল চারটার দিকে পূর্ব শত্রতার জেরে আমার আপন ভাই মৃতঃ রসুন জামান ভাদুর ছেলে মোঃ পল্টু শেখ(৫৪), প্লটু সেখের ছেলে মোঃ রজব আলী(২৮), অপর ভাই মৃতঃ রসুন জামান ভাদুর ছেলে মোঃ আসাদুল হক(৫৮), মোঃ আসাদুল হবের ছেলে মোঃ রাজিব (৩০) ও মোঃ মাজিদ(২৮) লাঠিসোটা, ধারালো হাসুয়া নিয়ে অর্তকিত হামলা চালিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে আমাকে, আমার মাকে, আমার বোনকে মারপিট করে ৫০ ক্যারেটে ভর্তি টমেটো নিয়ে চলে যায়। যার মূল্য প্রায় ৫৮ হাজার টাকা। জমিতে লাগানো ফল ধরা টমোটো গাছ কেটে ফেলে দের থেকে পৌনে দুই লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। এ সময় আমার জ্যাকেটে থাকা টমেটো বিক্রয়ের ১৯ হাজার টাকাও নিয়ে যায়। তাদের মারপিটের ঘটনায় আমি ও আমার মা ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করি। এব্যাপারে আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

বিপ্লবের মা সারজান বিবি(৭৫) বলেন, আমার অন্য ছেলেরা হাসুয়া নিয়ে এসে টমেটোর গাছ কেটে ভ্যানে করে ক্যারেটে ভর্তি টমেটো নিয়ে চলে যায়। আমাকেও আঘাত করে। পায়ের ব্যাথায় হাঁটতে পারছিনা।

পাশ্ববর্তী টমেটো চাষি হাসান জাননা, বিপ্লবের ভাইয়েরা এসে টমেটো গাছ কেটে জমির টমেটো নিয়ে গেছে। বিপ্লব ও তাঁর মা বোনকে মেরেছে। পল্টু আমাকে হুমকি দিয়ে বলে তুই যদি স্বাক্ষী দিস তাহলে তোকে মারবো তোর নামে মামলা করবো।

এব্যাপারে অভিযুক্ত পল্টু শেখের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের জমীর ভাগ না দেওয়ার জন্য নিজেরাই গাছ কেটেছে।

ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার বলেন, এব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *