স্টাফ রিপোর্টার: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার ইউএনও তাহমিদা আক্তারের বদলীতে এলাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। গত বছরের ২৮ এপ্রিল ভোলাহাট উপজেলার ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ১৪ জানুয়ারি তাঁকে বদলি করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে যোগদানের পর থেকেই নাগরিক সেবা প্রদানে ছিল অনিহা। নিজ দপ্তর ছেড়ে গভীর রাত পর্যন্ত বসতেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে। জনকল্যাণমূলক কাজে বাধা প্রদান। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে দূরত্ব। ভূমি অফিসের ২ জন কর্মচারী ছাড়া অন্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে সীমিত যোগাযোগ। উপজেলার তিনটি গাড়ী( ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও উপজেলা পরিষদ) সরকারি কাজ ছাড়াই ঘুরে বেড়াতেন। গাড়ী নিয়ে সরকারি নীতিমালা বহির্ভূত ভাবে অন্য জেলায় গিয়ে ঘুরেছেন।
এর পূর্বে শাহাজাহানপুর উপজেলা থেকে বদলী হওয়ার পর শেষ কর্মদিবসে ইউএনও, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অফিস সহকারীর কক্ষ থেকে ৩টি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, ১টি ল্যাপটপ ও ২টি সিসি ক্যামেরাসহ হার্ডডিস্ক উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে ব্যপকভাবে প্রচার হয় ।
ইউএনও তাহমিদা আক্তারের বিরুদ্ধে মাটিকাটা, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এ ছাড়া হাটের ইজারার টাকা বকেয়া রাখার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়াসহ কর্মচারীদের বিল আটকে রাখার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তাঁর উপরে অসন্তোষ ছিল রাজনৈতিক নেতারা।
ভোলাহাট উপজেলায় এসে জনস্বার্থ বিরোধী কৃষি কাজে ফসল উৎপাদন বন্ধে সরকারের এজেন্ডা বিরোধী কাজ করেছেন। গ্রাম পুলিশদের সাথে দূরব্যবহার করেছেন। ৫ আগষ্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের পরও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত করেছেন তিনি। উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষবাণিজ্যে মৌখিক ভাবে কর্মচারী নিয়োগ দেয়ায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। এমন নানা অভিযোগের বোঝা মাথায় নিয়ে ভোলাহাট থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে সদর দপ্তরে বিভাগীয় ভূ- সম্পত্তি কর্মকর্তা হিসেবে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ১৪ জানুয়ারি বদলির আদেশ হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন ভোলাহাট উপজেলাবাসী।
