স্টাফ রিপোর্টার: ২০১৭ সালে সিভিল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনা করে বেকারত্বের অভিশাপে পরিবার ও সমাজের কাছে বোঝা হয়ে দূর্বিসহ জীবন যাপনের এক সময় হতাশায় ভুগছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভূজা গ্রামের মোঃ আলমাস আলীর ছেলে মোঃ নাঈম ইসলাম।
টানাপোড়েনের সংসারে বেকারত্বের যন্ত্রনায় কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকায় ছুটাছুটি করেন তিনি। কিন্তু কোন কুলকিনারা করতে পারেননি। ফিরে আসতে হয় বাড়ীতে। যন্ত্রনায় বাড়ী থেকে বের হলেই শুনতে হতো নানা যন্ত্রণাদায়ক কথা। মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন নাঈম ইসলাম। খোঁজ পেয়ে তদবির করে ভোলাহাট উপজেলায় কম বেতনে একটা প্রকল্পের চাকরি ছুটে কপালে। কিন্তু কপালে দুঃখ থেকেই যায়। ৫/৬ মাস পর পর বেতন পান। এভাবে কতদিন চলবে? এমন প্রশ্ন নিজের কাছে বার বার আসতে থাকে নাঈমের।
সবজি চাষ করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবে এমন চিšত্মা করেন তিনি । এ মৌসুমে শুরম্ন করেন পৌণে ৩ বিঘা জমিতে টমেটো এবং ২ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ। পরিবারের কাছ থেকে ও ঋণ করে টাকা সংগ্রহের পর ঝুঁকি নিয়ে সবজি চাষ শুরম্ন করেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নাঈম ইসলাম বলেন, ‘বেকারত্বের যন্ত্রনায় যখন নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই সিদ্ধাšত্ম নিলাম সবজি চাষ করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে হবে। সিদ্ধাšত্ম নিয়ে পৌণে ৩ বিঘা জমিতে টমেটো আর ২ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ শুরম্ন করেছি। প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। উৎপাদন প্রায় ৫ লাখ টাকা আশা করছি । এবার টমেটো এবং মিষ্টি কুমড়ায় লাভবান হবো। পরবর্তীতে মৌসুম ভিত্তিক সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো বলে আশাবাদী তিনি।
নাঈম ইসলাম বলেন, ‘সবজি চাষ শুরম্ন থেকে এখন পর্যšত্ম তিন জন মানুষ প্রায় প্রতিদিন জমিতে কাজ করছে। তাদেরকে পারিশ্রমিক দিতে পারি। শ্রমিক ফিরোজ বলেন, আমরা তিন জন মানুষ নাঈম ভাইয়ের জমিতে কাজ করে সংসার চালাই।’