ভোলাহাটে চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় লোকমান আলী

ভোলাহাট উপজেলা রাজনীতি সারা দেশ

স্টাফ রিপোর্টার: দোরগোড়ায় টোকা দিচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ষষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোলাহাট উপজেলায় নির্বাচন অনুশিষ্ট হবে আগামী ৮ মে। নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছে ভোলাহাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামী। ভোলাহাট উপজেলায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন ভোলাহাট উপজেলার দুইবারের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ লোকমান আলী। তিনি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর। চেয়ারম্যান পদে পাশ করার সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখচ্ছেন স্থানীয় নেতা- কর্মীরা।

জানা গেছে, আসন্ন ভোলাহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। দীর্ঘ দিন থেকে বিভক্ত ভোলাহাট উপজেলা বিএনপি। বর্তমানে উপজেলা বিএনপি’র রাজনীতি তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আছে।

যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কেউই দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করছে না তাহলে এখানে প্রার্থীর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা এবং এলাকায় তার অবস্থান বিবেচনা করা হবে। এরকম নির্বাচনে জামায়াত ভাল করবে বলেই তাদের বিশ্বাস। আর এই কারণেই সর্বশক্তি দিয়ে জামায়াত উপজেলা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাজেই দলীয় প্রতীক বিহীন এই নির্বাচন জামায়াতের জন্য সুবর্ণ সুযোগ এমনটি মনে করছে জামায়াতে নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারেরা।

উপজেলা পরিষদের দুই বার বিপুল ভোটে পাশ করা এই জামায়াত নেতাকে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার জন্য মনোনীত করেছেন স্থানীয় জামায়াত নেতা ও কর্মীরা। সেই লক্ষ্যেই জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দলের নেতা কর্মীরা। ইতোমধ্যে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে ভোটারদের মাঝে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন এই জামায়াত নেতা। দশ বছর ভাইস চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ও পরে দলের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সামাজিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন তিনি। এছাড়া আচরণগত কারণে তিনি সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে জনপ্রিয় মুখ। সাধারণ ভোটারদের ধারণা, সবদিক বিবেচনায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোঃ লোকমান আলী চেয়ারম্যান পদে ভোট করলে জয় পাবে।

জামায়াতের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, জামায়াত নির্বাচনমুখী একটি রাজনৈতিক দল। সব সময়ই মাঠপর্যায়ে প্রার্থী যাচাই-বাছাই চলে। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী চুরান্ত করা হয়েছে। দমন পীড়ন চললেও জামায়াত সব সময় রাজনৈতিক মাঠে রয়েছে।

দলদলী ইউনিয়নের আমীর মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, কোন দলের সাথে জোটে না গিয়ে একক ভাবে নির্বাচন করলে জামায়াত ভালো করবে। সাংগঠনিক অবস্থাকে যেমন সংহত করতে পারবে ঠিক তেমনি দলীয় অবস্থান জানান দিতে পারবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জামায়াতের প্রার্থী জয় অর্জন করবে বলে তাঁদের দাবি। তাঁরা বলেন, বিএনপির বিভিন্ন গ্রুপের নেতারা জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে বিরত রেখে তাঁদের পক্ষে নেওয়ার জন্য জামায়াতের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের কাছে দোঁড় ঝাপ শুরু করেছে। জামায়াত যদি কারো সাথে নির্বাচনি সমঝোতা করে বা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন না করে তবে ভুল সিদ্ধান্ত হবে বলে তাঁরা মনে করেন এবং নির্বাচনি মাঠে কাজ করা থেকে অনিহা প্রকাশ করেন।

মো: লোকমান আলী বলেন, ভোলাহাট উপজেলার জনগণ দুই বার বিপুল ভোটের মাধ্যমে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করেছিলেন। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দল আমাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত করেছে। সবসময় জনগনের সাথে থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছি। ইনশাআল্লাহ আগামীতেও আস্থার সাথে কাজ করার প্রত্যাশা রাখি। আমি আশাবাদী জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।

ভোলাহাট উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ শামসুজ্জামান আলকাশ জানান, উপজেলা জামায়াতের কার্যনির্বাহী পরিষদে একক ভবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *