স্টাফ রিপোর্টার: আজ কাল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার কিছু কিছু এলাকা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে মোবাইল যোগাযোগ বন্ধ। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উঠে বৈষম্য। জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। ঔষধ আর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পচন ধরছে ফ্রিজে। বিপদে পড়লে ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করে সাহায্য চাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনটাও অসহায়। উঠে থাকছে নো সার্ভিস। গরমে ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধ বৃদ্ধা আর অসুস্থ মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। আলোর জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে কুপি(চেরাগ), বাতাসের জন্য হাতপাখা। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে উন্নতি হয়ে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছেন। এসময়ে এসে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখার আন্দোলনে নেমেছে কে? প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে কোন অসাধু কর্মকর্তাদের কারসাজি না উৎপাদন ঘাটতি এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের। এদিকে জাতীয় সংসদ সদস্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ মুহাঃজিয়াউর রহমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ।তারপরও তাঁর নির্বাচনী এলাকায় বিদ্যুতের হাহাকার। এক সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন শিবগঞ্জের ব্রিগেডিয়ার মোঃ এনামুল হক। সারাদেশে বিদ্যুতের চরম সংকট থাকলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মানুষ বিদ্যুতের অভাব বুঝতে পারেনি। আর এখন যে অবস্থা বিদ্যুতের অভাবে বোরো ধানের ভরা মৌসুমে বিদ্যুৎ সংকটে সেচ দিতে পারছেন না কৃষক। এতে ফসল উৎপাদন চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অর্থ ওয়ালারা আইপিএস বা শোলার বিদ্যুৎ নিয়ে ঝুঁকি মোকাবেলায় কিছুটা সুস্থিতে থাকলেও দুশ্চিন্তা নিয়ে আছেন সাধারণ দরিদ্র মানুষ। একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ৫এপ্রিল শুক্রবার সারাদিন দফায় দফায় বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার খেলা চলছে তো চলছেই। পরে রাত সাড়ে ৯ টা থেকে বারোটা বাজতে দশ মিনিট বাঁকী এ সময় বিদ্যুতের দেখা মিলেছে। এরি মধ্যে মোবাইল ফোনের যোগাযোগ বন্ধ। নো সার্ভিস দেখাচ্ছে। এ সংকটের শেষ কোথায় জানে না কেউ। তবে কর্তা বাবুরা কোন নোটিশ দিয়েও বলছেন না বিদ্যুতের ঘাটতি কোথায়? যাক ভুক্তভোগীদের সমস্যার সমাধান করবে কে। এ অজানা গল্পের শেষ কখন জানতে চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে ভুক্তভোগীরা।