স্টাফ রিপোর্টার: নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলিকে পরিচয় করিয়ে দিতে রহনপুরে পিঠাউৎসব পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার রহনপুর কলোনি মোড়ে জ্ঞানচক্র একাডেমির আয়োজনে এই পিঠাউৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপি এই উৎসবে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম অনন্যা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা খাতুন, জ্ঞান চক্র একাডেমীর পরিচালক সারোওয়ার হাবিব, অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যরা।এদিকে প্রতিষ্ঠানে সকাল থেকে নাচগান, বাহারী নকশা ও হরেক রকম মজাদার পিঠা নিয়ে চলে এই উৎসব।
মেয়েরা লাল হলুদ শাড়ী,মাথায় গাদাফুলের মালাসহ নতুন পোশাক পড়ে উৎসবে অংশ নেয়। এতে অভিভাবকরাও অংশ নেয় ছেলে মেয়েদের সঙ্গে। ৭ ম শ্রেনীর ছাত্রী বর্ণালী সরকার বলেন আমি সারারাত ঘুম যাইনি শুধু পিঠা পুলি উৎসবে যাবো নানা রকম পিঠা পুলি বানাবো। এছাড়া নাসিম ,রুকাইয়া ইসলাম তৃষাসহ অনেক শিক্ষার্থী বলেছেন,তাঁরা এত ধরনের পিঠা কখনো দেখিনি। জানতে পারলাম হারিয়ে যাওয়া পিঠাসহ নতুন পিঠার নাম।
তাছাড়া তৈরি করা সুস্বাদু এই পিঠা খেয়ে ভাল লেগেছে। পড়ালেখার পাশাপাশি এ ধরনের উৎসবে অংশ নিয়ে মজা করলাম। কয়েকজন অভিভাবক জানান, পিঠা উৎসবের মধ্যে দিয়ে নতুন পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছে। বিদ্যালয়ের এই ধরনের আয়োজনে তাঁরা মুগ্ধ। সন্তানদের আনন্দ ও উল্লাস ছিল দেখার মত। জ্ঞান চক্রের পরিচালক ও পিঠা উৎসবের আয়োজক সারোওয়ার হাবিব বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা পুলির সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এই আয়োজনে ছেলে-মেয়েদের আনন্দের মাত্রাটা বেড়ে গেছে। এই ধরনের আয়োজন প্রতিবছর করার চেষ্টা করা হবে। গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত আনজুম অনন্যা বলেন এই উৎসবে অংশ নিয়ে আনন্দিত হয়েছি। আমি হারিয়ে গেয়েছিলাম আমার স্কুল লাইফে। শিক্ষার্থীদের পাঠাদানের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা করতে এ উৎসবের আয়োজন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে। এ ধরনের আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। পরে তিনি বিচারক হিসেবে পিঠা উৎসব অংশ নেওয়া তিনজন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী করেন । এতে ১ম হয়েছেন চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র নাইমুল ইসলাম রিফাত,২য় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মাইশা বিশ্বাস, ৩য় হয়েছেন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার হোসেন মোট ৬ জন কে পুরস্কৃত করেন।